অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পূর্ব সুদানের বাস্তুচ্যুত তিনভাগের দুইভাগেরও বেশি পরিবার পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। যুদ্ধ সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষকে দুর্ভিক্ষের দারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। নরওয়ের একটি এনজিওকে উদ্ধৃত করে এফপি এখবর জানায়।
বছরের মধ্যভাগ থেকে পূর্ব সুদানে প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা বেড়ে যায় এবং খার্তুমের দক্ষিণের আল জাজিরা রাজ্যে বেশি আক্রান্ত হয়।
জাতিসংঘের মতে, পার্শ্ববর্তী আল কাদেরি রাজ্যে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আছে।
প্রায় ২০ মাস ধরে আব্দেল ফাত্তাহ আল বুরহানের নেতৃত্বে সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির প্যারামিলিটারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। প্যারামিলিটারির নেতৃত্ব দিচ্ছে মোহাম্মেদ হামদান দাগলো। এই যুদ্ধে সেখানে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, আর অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তচ্যুত হয়েছে ১ কোটির ১০ লাখেরও বেশি সুদানি। কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী দেশেও আশ্রয় নিয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল মানবিক বিপর্যয় রোধে ঐ সব বাস্তুচ্যুত এবং তাদের আশ্রয়দাতা উভয়ের জন্যই জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
পূর্ব সুদানের ছয়টি প্রদেশের ৮৬০০ পরিবারের উপর এক জরিপ চালিয়ে এনআরসি জানিয়েছে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে এবং আয় না থাকার কারণে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের প্রায় ৭০ ভাগ পরিবার এবং তাদেরকে যারা আশ্রয় দিয়েছে সেইসব আশ্রয়দাতা পরিবারের শতকরা প্রায় ৫৬ ভাগ প্রয়োজনীয় খাবার পাচ্ছে না।
এনআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশ্রয়দাতা (হোস্ট) ৯২ শতাংশ পরিবার এবং বাস্তুচ্যুত ৭৬ শতাংশ পরিবার গত ছয় মাসে কোন খাদ্য সহায়তা পাইনি। এনআরসি সুদানের কান্ট্রি ডিরেক্টর উইল কার্টার বলেন, পূর্ব সুদানের শহরগুলো প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে, যুদ্ধ সেখানকার শহরগুলোকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।
এনআরসি ঐ প্রতিবেদনে পৃথিবীকে সুদানে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, ভৌত অবকাঠামোর পুনর্গঠন এবং জীবনমান উন্নয়নে সেখানে বিনিয়োগ করার কথা বলেছে।
Leave a Reply